
জসিম চলে যাওয়ার ২২ বছর আজ
অক্টোবর ৮, ২০২০ঢাকাই চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী অভিনেতা জসিমের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ১৯৫০ সালের ১৪ আগস্ট ঢাকার নবাবগঞ্জের বক্সনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার আসল নাম আবদুল খায়ের জসিম উদ্দিন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে দুই নম্বর সেক্টরে লড়াই করেছিলেন জসিম। ১৯৯৮ সালের ৮ অক্টোবর মস্তিষ্কজনিত রোগে নিভে যায় জসিমের জীবন প্রদীপ। কিন্তু চলচ্চিত্রে তার অবদান আজও চিরস্মরণীয়।
জসিমের ক্যারিয়ারের শুরুটা খল চরিত্রে হলেও দর্শক মনে তিনি আসন পেতে আছেন নায়ক হয়ে। দেশের অ্যাকশনধর্মী চলচ্চিত্রের অন্যতম পথ-প্রদর্শক তিনি। পর্দায় ছিলেন শোষিত কিংবা বঞ্চিতদের প্রতিনিধিত্বকারী।
রূপালি পর্দায় অভিষেক স্বাধীনতা পরবর্তী ১৯৭২ সালে ‘দেবর’ ছবির মাধ্যমে। তবে তার ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট বলিউডের ‘শোলে’ সিনেমার রিমেক ‘দোস্ত দুশমন’। এর পরের গল্পটা শুধুই এগিয়ে যাওয়ার। অভিনয় করেছেন প্রায় তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে।
আশি ও নব্বই দশকের প্রায় সব জনপ্রিয় নায়িকার বিপরীতেই দেখা গেছে তাকে। এর মধ্যে শাবানা ও রোজিনার সঙ্গে তার জুটিই সবচেয়ে বেশি দর্শকপ্রিয়তা পায়।
জসিম অভিনীত ছবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘তুফান’, ‘জবাব’, ‘নাগ নাগিনী’, ‘বদলা’, ‘বারুদ’, ‘সুন্দরী’, ‘কসাই’, ‘লালু মাস্তান’, ‘নবাবজাদা’, ‘অভিযান’, ‘কালিয়া’, ‘বাংলার নায়ক’, ‘গরিবের ওস্তাদ’, ‘ভাইবোন’, ‘মেয়েরাও মানুষ’, ‘পরিবার’, ‘রাজা বাবু’, ‘বুকের ধন’, ‘স্বামী কেন আসামী’, ‘লাল গোলাপ’, ‘দাগী’, ‘টাইগার’, ‘হাবিলদার’, ‘ভালোবাসার ঘর’ প্রভৃতি। সবমিলিয়ে প্রায় দুইশ’ ছবিতে অভিনয় করেন তিনি।
জসিমের প্রথম স্ত্রী ছিলেন নায়িকা সুচরিতা। পরে তিনি ঢাকার প্রথম সবাক ছবির নায়িকা পূর্ণিমা সেনগুপ্তার মেয়ে নাসরিনকে বিয়ে করেন। সেই ঘরে রয়েছে তিন পুত্র সন্তান।
তারা তিনজনই সংগীতের মানুষ। ‘ওন্ড’ নামের তাদের রক মেটাল ব্যান্ডদল রয়েছে। যার নেতৃত্বে আছেন জসিমের জৈষ্ঠপুত্র সামী।