বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী কাজল। দীর্ঘ ক্যারিয়ারের এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ্যে আনলেন তিনি। ৪৪ বছরের অভিনেত্রী কাজল এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তিনি সিনেমায় ধর্ষণের দৃশ্যে অভিনয় করতে চাননি।
কাজল জানিয়েছেন, ১৯৯৮ সালে তার প্রিয় ছবি ‘দুশমন’ এই নায়িকার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু তনুজা চন্দ পরিচালিত এই ছবিতে তিনি ধর্ষণের দৃশ্যে অভিনয় করতে অস্বীকার করেন। বলিউডে কাজল পা রাখেন ‘বেখুদি’ ছবির মধ্য দিয়ে। খবর আজকালের।
কাজল বলেন, ‘আমি না বলেছিলাম কারণ আমি চাইনি কোনও ছবিতে ধর্ষণের দৃশ্যে অভিনয় করতে। আমার মনে হয়েছিল এটা অনস্ক্রিন ফুটিয়ে তোলা খুব কঠিন কাজ। তাছাড়া পর্দায় কেউ আমার সঙ্গে এ ধরনের দৃশ্য করবে তাতেও আমি কিছুটা অস্বস্তি বোধ করেছিলাম। সেটা শুটিংই হোক না কেন।’
ছবিটি করতে কাজল একমাত্র এই শর্তেই রাজি হয়েছিলেন। প্রথমে ‘দুশমন’ ছবিতে অভিনয় করতে না চাইলেও পরে পরিচালক–প্রযোজক পুজা ভাটের অনুরোধে তিনি রাজি হন। অভিনেত্রী বলেন, ‘ছবির পরিচালক বলেছিলেন যে শুধু কাছ থেকে একটা শট পেলেই হবে, বাকিটা তারা দেখে নেবে। তনুজা তার কথা রেখেছিলেন। আপনারা যখন ছবিটি দেখবেন তখন হয়ত কিছুই বুঝতে পারবেন না। এত সুন্দরভাবে দৃশ্যটা তৈরি করা হয়েছে। আমি খুব খুশি এই ছবিটি করতে পেরে।’
কাজল জানান, ধর্ষণের অনুভূতি সেটা এভাবে পর্দায় ফোটানো যায় না। যাদের হয় একমাত্র তারাই এই ব্যথাটা অনুভব করতে পারেন।
কাজলের কাছে ধর্ষণ জঘন্য অপরাধ, তাই তিনি সেটা অনস্ক্রিনে করতেও রাজি হননি। তাতে অবশ্য খুব একটা প্রভাব পড়েনি ‘দুশমন’ ছবিটিতে। সেরা অভিনেত্রীর পুরষ্কার তার ঝুলিতে এই ছবির দৌলতেই এসেছিল। ছবিতে কাজল ছাড়াও ছিলেন আশুতোষ রানা, সঞ্জয় দত্ত।
এদিকে কাজলের পরবর্তী ছবি ‘হেলিকপ্টার এলা’ মুক্তি পাচ্ছে আগামী ১২ অক্টোবর।